প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে: ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (১০ নভেম্বর): প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও জনগণের কল্যাণমুখী একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমেরিকার নির্বাচন ব্যবস্থা দেখে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাদের প্রশাসন সম্পূর্ণ চাপের মধ্যে থেকেও পুরোপুরি অবিচল ছিল। জনগণের যে রায় সেটাই গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি একটি প্রহসনে পরিণত করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আমরা বলে আসছি নির্বাচন কমিশনকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হোক। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে অনেকগুলো প্রস্তাব আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে দিয়েছিলাম। একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন আর এই নির্বাচন কমিশন যদি শক্তিশালী না হয়, তারা যদি সরকারের প্রভাবমুক্ত না হয়, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে¡ রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সাহেবের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা সেখানে স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি সার্চ কমিটি করা হবে এবং সেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত হবে। তারা আমাদের কোনো প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করেননি। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ নিজের মনের মতো তৈরি করা। ফলে আজকে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, উপনির্বাচন-স্থানীয় সরকার নির্বাচন সব জায়গায় তারা সম্পূর্ণ দখলদারিত্ব তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে। এটাই গণতন্ত্রের মূল ফাউন্ডেশন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখন মাত্র ৫-৬ শতাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে ্র যান। মোট কথা যারা প্রতিনিধিত্ব মূলক একটি রাষ্ট্র তৈরি করে সেই জায়গাটাতে ধস নেমে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও আমরা দীর্ঘ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। তারা কথা দিরেয়ছিলো সেটা করেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আবারও তারা আমাদের সাথে সংলাপ করেছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা অর্থাৎ আমাদের কোনো দাবি তারা রাখেনি। ৩০ তারিখ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তারা ২৯ তারিখ রাতে অর্থাৎ আগের রাতেই ভোট কারচুপির মাধ্যমে নিজেদের পক্ষে নির্বাচন নিয়ে নিয়েছেন। জনগণ এগুলো সব দেখছে, কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছে না। কারণ তাদের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। তারা অসহায় হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’