যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের থেকে শিক্ষা-দীক্ষা নেওয়া উচিত: সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১২ নভেম্বর): প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চার-পাঁচ দিনেও ভোট গণনা শেষ করতে পারে না। আর আমরা ইভিএম এ ১০ মিনিটে ফল ঘোষণা করে দিতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের থেকে শিক্ষা-দীক্ষা নেওয়া উচিত।’ বৃহস্পতিবার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেওয়ার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন নিজের গরজে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের বিষয়ে আমি সবসময় বলি, এটা দেখতে হবে গ্লোবালি, কাজ করতে হবে লোকালি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সংস্কৃতি ১৫০ বছরের। তাছাড়া সেখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ থেকে ভালো সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করি। আমার একটা কথা, তাদেরও আমাদের থেকে শিক্ষা-দীক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ যুক্তরাষ্ট্র চার-পাঁচ দিনেও ভোট গণনা করতে পারে না। ইভিএম এ আমরা ১০ মিনিটে ভোট গণনা করে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা দিয়ে দেই। এই জিনিস যুক্তরাষ্ট্রে নেই। তাদের প্রায় ২৫০ বছরের গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতায় সেটা এখনও পারেনি। দ্বিতীয়ত হচ্ছে তাদের কেন্দ্রীয় কোনও নির্বাচন কমিশন নেই।’
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি কেন্দ্রও কেউ দখল করেনি। কেউ পাঁয়তারা করেনি। বিএনপির পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে যায়নি। আমি খোঁজ নিয়েছি। আমার প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে জানিয়েছে বিএনপির পোলিং এজেন্ট কেউ তার কাছে রিপোর্ট করেনি। আর বিএনপির একজন সম্মানীয় ব্যক্তি আমাকে সকালে ফোন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন কয়েকজন আসবেন আমার কাছে অভিযোগ জানাতে। আমি তার জন্য অফিসে গিয়ে বসেছিলাম। তারা আসেননি। পরে আমি আমার অফিসে বলে এসেছি কেউ যদি অভিযোগ নিয়ে আসে সেটা গ্রহণ করতে। আমি অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। অভিযোগ সত্য নয়।’
ভোটার উপস্থিতি কম এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম এর সঙ্গে ভোটারদের পরিচিতি কম হতে পারে। আমি সঠিক জানি না, এটা বিশ্লেষণের বিষয়। তবে এটা সব ক্ষেত্রে সঠিক না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটু কম হয়। আমার মনে হয়, ভোটাররা আসছেন না কেন এটা তারা ভালো বলতে পারবেন। আমাকে জিজ্ঞেস করবেন আমার ম্যানেজমেন্ট ঠিক আছে কিনা। ভোটাররা কেন্দ্রে তো যাবেন নিজের গরজে। আর এর আগে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার ফলে দেখা গেছে অনেকেই ছুটি পেয়ে বাড়ি চলে যায়। এই কারণে ভোটার কম হয়। এটা বিবেচনা করে, আর ভোট দিতে তো বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না- তাই এবার আর সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়নি।’