আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা
৭ মার্চের ভাষণ টেলিভিশন, বেতারে একযোগে সম্প্রচারের প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: পিআইডি
ঢাকা (১২ নভেম্বর): ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের সময়ের (বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে) সাথে মিল রেখে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ একই সময়ে দেশব্যাপী সব সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, বেতার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে সম্প্রচার করা হবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত 'ঐতিহাসিক ৭ মার্চ' দিবসকে প্রথমবারের মত জাতীয় দিবস হিসাবে উদযাপন সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।
প্রস্তাবে আরো বলা হয়, এ উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠান যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সশরীরে/অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রাথমিকভাবে ৭ মার্চের ভাষণ সাবটাইটেল আকারে জাতিসংঘের ৬টি অফিসিয়াল ভাষায় এবং পরবর্তীতে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের সহায়তায় সর্বাধিক সংখ্যক ভাষায় অনুবাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দিবসটি জাতীয় 'ক' শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
এছাড়া সভায় আরো যেসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে- বৈদেশিক মিশনসমূহে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন, জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব কর্মসূচি প্রণয়নপূর্বক দিবসটি উদযাপন, সকল জেলা ও উপজেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন, জেলা উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানসমূহে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পৃক্তকরণ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তর-সংস্থার নিজস্ব কর্মসূচি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সেল গঠন, তথ্য মন্ত্রণালয় দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রদান, ক্রোড়পত্র তৈরি, সকল সরকারি-বেসরকারি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রভৃতি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তাছাড়া সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।