রিমান্ড শেষে কারাগারে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ফাইল ফটো
ঢাকা (১৪ নভেম্বর): হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চার মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্হানগর হাকিম মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দুই আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ৮ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় তিন দিন এবং মাদক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে নিউ মার্কেট থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে বের হয়ে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এসময় তার স্ত্রীকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।