মাস্ক না পরলে ‘কঠিন সাজা’
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
গত ১৭ নভেম্বর মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে মাস্ক না পরায় জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট। ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা(২৩ নভেম্বর): করোনাভাইরাসের মধ্যে বার বার সর্তক করার পরেও যারা মাস্ক পড়ছেন না তাদের ‘কঠিন সাজা’ দেওয়া হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই সাজা দেওয়া হবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,‘মাস্কের বিষয়টি (মন্ত্রিসভা বৈঠকে) খুব স্ট্রংলি এসেছে। গতকাল কমিশনাররা জানিয়েছেন, তারা ম্যাসিভলি ফাইন করছেন। কাল সারা দেশে কয়েক হাজার লোককে ফাইন করা হয়েছে। আমরা বলেছি, আরও এক সপ্তাহ দেখতে। ফাইনেও যদি কাজ না হয় তাহলে মটিভেশন কর, তারপরে আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে যেতে হবে।’
মাস্ক না পরলে কী ধরনের ‘কঠিন’ সাজা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ফাইন বাড়িয়ে দিতে পারে। হয়ত এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ফাইন করল সেটাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিল। আমরা আরেকটু স্ট্রং ব্যবস্থায় যেতে বলেছি।’
আনোয়ারুল বলেন,‘যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন, তারা সঙ্গে মাস্ক নিয়ে যাবেন, যাতে মানুষকে জরিমানা করার পর সেগুলো দিয়ে দেওয়া যায়।
মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে খুলনা ও চট্টগ্রাম ‘স্ট্রং অ্যাকশনে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রোববার ঢাকার ৩৭টি জায়গায় মোবাইল কোর্ট চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজকেও বলেছেন, যেভাইবেই হোক মানুষকে আরও বেশি বেশি করে প্রচার কর, ফোর্স কর, যেভাবেই হোক মানুষ যেন মাস্ক ইউজ করে। মাস্ক ইউজ না করলে ভ্যাকসিন বলেন, ওষুধ বলেন কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগে করোনাভাইরাস বেশি ছাড়ালেও রাজধানীর বাইরে ততটা ছড়াচ্ছে না।কারণ আমরা তো হাসপাতালের কন্ডিশন দেখছি, হাসপাতালে পেশেন্ট বেড়ে গেছে। তার থেকে মনে হচ্ছে এটা আরেকটু বেড়েছে।”
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষ মারা গেলেও নানা অজুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু দিন ধরে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।