বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিনা ও রিমু
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (২৪ নভেম্বর): বিবিসি প্রকাশিত ১০০ নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন দুই বাংলাদেশি। তারা হলেন রিনা আক্তার ও রিমা সুলতানা রিমু। খবর বিবিসি
বিবিসি বলছে এবার একশ নারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টিতে হাইলাইট করেছে তা হলো যারা পরিবর্তন আনতে নেতৃত্ব দিয়েছন এবং মহামারির এই কঠিন সময়েও তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ তালিকায় আছেন ফিনল্যান্ডের কোয়ালিশন সরকার যার প্রতিটি সদস্য নারী তার প্রধান স্যান্না ম্যারিন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাস টিকা গবেষণা দলের প্রধান সারাহ গিলবার্ট। পাকিস্তানী অভিনেত্রী মাহিরা খান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দারিদ্র বিমোচন বিষয়ক বিশেষ সহকারী সানিয়া নিশতার, ভারতের নাগরিকত্ব আইনবিরোধী আন্দোলনে অংশ ৮২ বছর বয়সী বিলকিস বানুসহ আরও অনেকে সুপরিচিত ব্যক্তিত্বের সাথে এ তালিকাতেই জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের রিনা আক্তার ও রিমা সুলতানা রিমু।
রিনা আক্তারের সম্পর্কে বিবিসি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মাত্র আট বছর বয়সে তার এক আত্মীয় তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিলো। সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন ও পরে যৌনকর্মীকে পরিণত হন। কিন্তু এখন তিনি অন্য যৌনকর্মীদের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে রিনা ও তার টিম ঢাকায় প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারশো যৌনকর্মীকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এসব যৌনকর্মীরা মহামারির কারণে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছেন।
রিনা আক্তার বলেছেন, "লোকজন আমাদের পেশাকে ছোটো করে দেখে কিন্তু আমরা এটি করি খাবার কেনার জন্য। আমি চেষ্টা করছি যাতে এই পেশার কেউ না খেয়ে থাকে এবং তাদের বাচ্চাদের যেন এ কাজ করতে না হয়"।
অন্যদিকে রিমা সুলতানা রিমু একজন শিক্ষক এবং তিনি কক্সবাজার ভিত্তিক ইয়াং উইমেন লিডার্স ফর পিস এর একজন সদস্য। এ কর্মসূচী গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স এর অংশ। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংঘাতসঙ্কুল দেশগুলো থেকে আসা তরুণ নারীদের ক্ষমতায়ন করা। যাতে তারা নেতৃত্ব দিয়ে ও শান্তির এজেন্টে পরিণত হতে পারেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি মোকাবেলার মাধ্যমে রিমা তার মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী বিশেষ করে নারী ও শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের জন্য লিঙ্গ সংবেদনশীল ও বয়সভিত্তিক স্বাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। রেডিও ব্রডকাস্ট ও থিয়েটার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করেছেন। রিমু বলেন, "আমি বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। অধিকার আদায়ের জন্য নারীর শক্তিতে আমি বিশ্বাস করি"।