মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রয়োজন নেই: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা(১৭ অক্টোবর): মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি মহল মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকার পরিবর্তন চাইলে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জনগণ চাইলে আমরা আবার আসব, আর না চাইলে সরে দাঁড়াব।
শনিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি নিজের বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য চোরাগলি খোঁজেন না, তার আস্থা এদেশের মাটি, মানুষ আর জনগণের ওপর। ষড়যন্ত্র করে নয়, দেশের উনয়নের মাধ্যমেই মানুষের মন জয় করতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনের নামে মধ্যবর্তী কোনো টালবাহানার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই মধ্যবর্তি কোনো ইস্যু তৈরির। সময় এলেই নির্বাচন হবে, দেশের মানুষ তখন পরবর্তী সরকার কে হবে তা ঠিক করবে।
তিনি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে চলে তখন একটি অপশক্তি দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সে ষড়যন্ত্র আবারও শুরু হয়েছে। দেশে-বিদেশে কোথায় বৈঠক হচ্ছে, কী ষড়যন্ত্র চলছে তার খবর অজানা নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। করা হচ্ছে মিথ্যাচার, চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি অপশক্তি সরকার ও জনগ্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি করতে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। সরকারকে টার্গেট করতে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তারা। সরকারের অন্ধ সমালোচনা করতে গিয়ে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের অবস্থানকে দুর্বল করে তুলছে।
তিনি বলেন, যারা জনগণের কাছে যাওয়ার সাহস পায় না, ÿমতায় যেতে অন্ধকারের চোরাগলি খোঁজে, দেশের ইমেজ নষ্ট করে, তাদের সম্পর্কে জনগণ সর্তক রয়েছে। জনগণ এসবে এখন আর বিশ্বাস করে না।
বিএনপি নেতাদের দেশে গণতন্ত্র নেই বলে যে অভিযোগ করেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, যাদের দলে গণতন্ত্র নেই, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন হবে নির্বাচনের মাধ্যমে কিন্তু তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। গেলেও তা লোক দেখানো এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। নির্বাচনে জিতলে বলে, আরও বেশি ভোটে জিততে পারত, হারলে দায় চাপায় নির্বাচন কমিশন আর সরকারের ওপর।
ওবায়দুল কাদের বলেন,করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন প্রায় চলিøশ বিলিয়ন ডলার। বাড়ছে রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়। বিশ্ব ÿুধাসূচকে ভারত-পাকি¯Íানকে পেছনে ফেলে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর্থসামাজিক প্রায় সকল সূচকে পাকি¯Íানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতির বিস্ময়।