Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
করোনা টিকা ক্রয়ে বাংলাদেশের খরচ সোয়া ৬ ডলার

শনিবার

১৬ নভেম্বর ২০২৪


২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

করোনা টিকা ক্রয়ে বাংলাদেশের খরচ সোয়া ৬ ডলার

বিশেষ প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৮ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৬:৪৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
করোনা টিকা ক্রয়ে বাংলাদেশের খরচ সোয়া ৬ ডলার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (০৭ ডিসেম্বর): করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ৬ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার টিকা প্রতি খরচ করতে হবে। সোমবারের ডলার এক্সচেঞ্জ হিসেবে বাংলাদেশী মুদ্রায় ডোজ প্রতি খরচ হবে ৫৩০ টাকা।

অ্যাসট্রা জেনেকা ও ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সহযোগিতায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উৎপাদিত কোভিড ১৯ এর টিকা `কোভিশিল্ড` এই দামে কেনা হবে।
জানুয়ারি মাসেই এ ভ্যাকসিন আমদানি শুরু হতে পারে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান।

এদিকে, টিকা সংগ্রহের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে অর্থনীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের পাঠানো এক প্রতিবেদনেও এই তথ্য জানানো হয়েছে।

যদিও এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা ধারণা করেছিলেন, প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন ৪ ডলার করে কিনে সাধারণ জনগণের মাঝে ৫ ডলারের বিনিময়ে বিতরণ করবে। মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য ব্যয়ের কারণে তারা কেভিশিল্ডের প্রকৃত দাম সম্পর্কে জানতেন না। তারা বলছেন, অন্যান্য ভ্যাকসিনের দামের তুলনায় প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের দাম কম হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক এ প্রসঙ্গে বিজনেসইনসাইডার`কে বলেন, আমরা আশা করছি আগামী মাসেই বাংলাদেশ কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন পাবে। তিনি বলেন, প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম এখনো নির্ধারণ হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি বাংলাদেশের জনগণ বিনামূল্যেই কেভিড-১৯`র টিকা পাবে। মালেক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া গেলেই যাতে ভ্যাকসিন পেতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা এখন কাজ করছি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এবং ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী প্রতি ডোজ কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের দাম হবে ৫ ডলার। তবে অর্থনীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়, অন্যান্য খরচসহ প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ৬ দশমিক ২৫ ডলার করে। এতে আরো বলা হয়েছে, প্রত্যেকের দু দফা করে ভ্যাকসিন নিতে হবে। বাংলাদেশের দেড় কোটি মানুষকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।

এছাড়া অক্সেফোর্ড ইউনির্ভিাসিটির ৩০ মিলিয়ন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন কেনার জন্য বাংলাদেশর প্রয়োজন হবে ১ হাজার ৫৮৯ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা। ১০ নভেম্বর অর্থ বিভাগ এ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

অক্সেফোর্ডের কোভিশিল্ডের এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা কিছু দিন আগে বলেছিলেন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে।

পশ্চিমা মিডিয়া বলছে দুই ডোজের কোভিশিল্ডের দাম তুলনামূলক ভবে অন্যান্য ভ্যাকসিনের চেয়ে কম (প্রতি ডোজ মাত্র ৩ ডলার)। আর এটি ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা সম্ভব। ওদিকে মর্ডানার ভ্যাকসিনের জন্য তাপমাত্রা প্রয়োজন মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ফইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়