আজ থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
ঢাকা (১৫ ডিসেম্বর): আজ থেকে সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়া চলবে ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
আগেই জানানো হয়েছে, করোনার কারণে এ বছর বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। এবার শুধুমাত্র অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনেই লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
এ বিষয়ে শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের আবেদন ফি ১১০ টাকা। শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে মেসেজের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে স্কুলের সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এরপর লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকাও পাবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাউশির ৬ নির্দেশনা: এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) সংশ্লিষ্ট সবাইকে ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সোমবার অধিদপ্তরের সব অঞ্চলের পরিচালক ও উপ-পরিচালক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে- ১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে সব প্রতিষ্ঠান প্রচারণা কার্যক্রম চালাবে। ২. কর্মস্থলে সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ৩. শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যে কোনো কর্মপরিচালনা করতে হবে। ৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ৫. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলায় ঊর্ধ্বতন/অধস্তন অফিস, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। ৬. সেবা গ্রহণকারীরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরাসরি অফিসে না এসে ডাকযোগে অথবা অনলাইনে কার্য সম্পাদন করবেন।