বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছি: নরেন্দ্র মোদি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিটিভি থেকে নেয়া
ঢাকা (১৭ ডিসেম্বর): ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার এবং গভীর করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন এবং নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে তার সদর দপ্তর থেকে এ বৈঠকে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভ সকাল জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আজকাল সারা দুনিয়াতে ভার্চুয়াল সামিট আয়োজন করছে। তবে আপনার আমার জন্য এটা কোন নতুন মাধ্যম নয়। আমরা অনেক বছর ধরেই একে অফরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোপ আলোচনা করে আসছি। আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধনও করেছি।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বিজয় দিবসের ঠিক পরপর আমাদের এ বৈঠক বিশেষ ভাবে গুরুত্ববহন করে। আপনার সঙ্গে এক সঙ্গে বিজয় দিবস উৎযাপন আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৯তম বার্ষিকীতে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী দুদেশের শহীদদের স্মরণ করছি। গতকাল বিজয় দিবসে আমি ন্যাশনাল ওয়্যার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। সেখানে আমি একটি বিজয় শিখাও প্রজ্জ্বলন করেছি। এ বিজয় শিখা সারা ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের শহীদদের প্রত্যেকের গ্রামে গ্রামে এ বিজয় শিখা নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা ১৬ ডিসেম্বর থেকে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি। ওই সময়ে সারা ভারতের বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুজিবর্ষ উপলক্ষ্যে আমি সমগ্র ভারতবাসী পক্ষ থেকে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিবাদন জানাচ্ছি। আমাকে আগামী বছর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রন জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানানোর সুযোগ হবে আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র নীতিতে বাংলাদেশ হচ্ছে আমাদের অগ্রাধিকার। আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার এবং গভীর করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এ কথা সত্য যে বিশ্বব্যাপী পেনডেমিকের কারণে এ বছরটা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে আশার বিষয় হচ্ছে এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকর সহযোগিতা বিদ্যমান। সেটা চিকিৎসা বা চিকিৎসা সামগ্রী হোক বা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। ভ্যাকসিনের প্রশ্নেও আমাদের মধ্যে চৎমকার সহযোগিতা চলমান রয়েছে। আমি আপনার সব ধরণের চাহিদার প্রতি বিশেষ মনোযোগি দিয়েছি। সার্ক ফ্রেমওয়ার্কে বাংলাদেশের অবদানের জন্য আমি আপনাকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও এ বছর অন্যান্য সেক্টরেও আমাদের অংশীদারিত্ব এগিয়ে যাবে। স্থল সীমান্ত নিয়ে আমাদের মধ্যকার নানা বাধা আমরা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েিেছ। দুদেশের মধ্যকার কানেকটিভিটি আরো উন্নত হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন নতুন অনুসঙ্গ সংযুক্ত হয়েছে। এ সব কিছুতেই আমাদের সম্পর্ক আরো জোরদারের সদেচ্ছার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়।
বঙ্গবন্ধুর বার্তা চিরন্তন। এ আবেগের প্রেক্ষিতেই আমরা তার লিগেসিকে সম্মান করি। আপনার মহান নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর লিগেসির স্পষ্ট ফতিফলন রয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আপনার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতিও বেশ স্পষ্ট। আজ আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পোস্টাল স্ট্যাম্প অবমুক্ত করার সযোগ পেয়ে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।