শিশু সামিউল হত্যায় মাসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২০ ডিসেম্বর): রাজধানী আদাবরের শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে (৫) হত্যার অপরাধে তার মা এশা ও এশার প্রেমিক বাক্কুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। খবর ইউএনবি।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোনা জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৩ জুন প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোন ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে। এরপর মরদেহ গুম করে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।
এরপর মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। ওই দিনই আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলেল মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা একে আজম আদাবর থানায় একটি মামলা করেন। বিচার চলাকালীন সময়েই সামিউলের বাবা মারা যান।
২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এ মামলায় মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছ। এতে এশা ও বাক্কু দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়ত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন।
এ মামলায় এশা জামিনে মুক্ত ছিলেন। ৮ ডিসেম্বর তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন। অন্য দিকে বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। এখন বাক্কু ও এশা দুজনই পলাতক রয়েছেন।