এনজিও ও নাগরিক সংগঠনগুলোর নতুন জোট সিএসও অ্যালায়েন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
ঢাকা (২২ ডিসেম্বর): গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীকে সমন্বয়ক কওে গঠন করা হয়েছে সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশন (সিএসও) অ্যালায়েন্স। এনজিও ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে এক মঞ্চে আনার লক্ষ্যে এটি গঠন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক ওয়েবিনারে জানানো হয়।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বিশেষ অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক রাশেদুল ইসলাম ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
গওহর রিজভী আয়োজকদের উদ্দেশে বলেন, “অ্যাডভোকেসি করতে গেলে আপনাদের সবার আগে এভিডেন্স দরকার। অনেকগুলো পলিসি পেপার আছে লিখিত আকারে, কিন্তু সে সবের দিকে ফিরেও তাকায় না। কারণ তাদের স্ট্রং এভিডেন্স নাই। তাই বলব, সামাজিক নানা ইস্যুতে কাজ করতে গেলে স্ট্রং এভিডেন্স লাগবেই।”
রাশেদা কে চৌধুরী জোটের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়েবিনারে বলেন, এ জোটের উদ্দেশ্য এনজিও, তাদের নেটওয়ার্ক ও সিএসওর মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক কাজের প্রভাব মূল্যায়ন, বিভিন্ন বৈচিত্রময় বিষয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে মতবিনিময় এবং নীতিগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করা।
নতুন এই জোটে ৪০০ এনজিও যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়ে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “মানবাধিকারের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের শিক্ষা, নারী, স্বাস্থ্য খাতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আজকে যে নানা প্রতিবন্ধকতা আসছে, তা আমাদের একসাথে মোকাবেলা করতে হবে।”
নতুন এই জোটের সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ওয়েবিনারে বলেন, “সরকারের পাশাপাশি আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য যে নানা কর্মকাণ্ড করছি, সে অবদানগুলো সামনে আসা দরকার। সামাজিক নানা সংগঠন ও আন্দোলনগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতেই এ উদ্যোগ।”