অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন: সংবাদ সম্মেলনে সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২৪ ডিসেম্বর): নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ ছাড়াই ৪ কোটি ৮ লাখ টাকার দুর্র্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, `এই অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে-তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে এ সংবাদ সম্মেলন। ইসিকে দায়ী করে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও আদৌ গ্রহন যোগ্য নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের বাইরে সিইসি কোন প্রশ্নের জবাব দেননি। এ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।
ইসির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্ত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। চিঠিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে।
ওই চিঠির ব্যাপারে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে সিইসি বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যয়ে আর্থিক অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিলাশবহুল গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগও অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম ক্রয়ের সাথে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়। সুতরাং বিবৃতিতে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য। তিনি বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অসদাচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও অসত্য। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিদেশী কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা কোন অভিযোগ তোলেননি। গণমাধ্যমও কোন অভিযোগ করেনি। বরং অনিয়মের কারণে বহু স্থানীয় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৮০ ভাগ। তাই নির্বাচনের ওপর থেকে জনগণের আস্থা চলে গেছে এ কথা ভিত্তিহীন।
৪২ নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন এক সময়ের ইসির আইনজীবি হিসেবে দায়িত্বপালন করা সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি শাহদীন মালিক। এতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিভিন্ন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসা অবসরপ্রাপ্ত সচিব আকবর আলি খান, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী।