শুস্ক আবহাওয়ায় জমিতে সেচ দেয়ার পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২৬ ডিসেম্বর): বর্তমান শুস্ক আবহাওয়ায় কৃষি জমিতে সেচ দিয়ে প্রয়োজনীয় পানির স্তর বজার রাখার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারাদেশে এখন শুস্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে। নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। আপাতত বৃষ্টিপাতেরও কোন সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় জাতীয় কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ সেবা বুলেটিনের মাধ্যমে এ পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শ্রীমঙ্গল, তেতুলিয়া, রাজারহাট ও চুয়াডাঙা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী আপাতত দেশের কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভববনা নেই। এ অবস্থায় মাঠে থাকা বিভিন্ন ফসলের জন্য নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এসব পরামর্শের মধ্যে
আমন ধানে সেচ দিয়ে পানির স্তর বজায় রাখতে বলা হয়েছে। নিয়মিত মাঠ পরিচর্যার পশাপাশি গান্ধী পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা,সবুজ পাতা ফড়িং, বাদামী গাছ ফড়িংয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য আলোক ফাঁদও ব্যবহার করা যেতে পারে। ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে তা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
শৈত্য প্রবাহের সময় বোরো ধানের বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকালে রাতে জমা শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। বীজতলা গাছ ফড়িংয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজতলা হলুদ হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় মাত্রায় সার ব্যবহার করতে হবে।
গমের জন্য তিন দফা সেচ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারার তিন পাতার সময় প্রথম সেচ, শীষ বের হওয়ার দ্বিতীয় সেচ এবং দানা গঠনের সময় তৃতীয় সেচ দিতে বলা হয়েছে।
আলু ক্ষেতে প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিতে হবে। আলুতে কাটুই পোকা আক্রামন বা লেট ব্লাইট রোগ থেকে বাচাতে ফেরোমন ফাঁদ এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এখন সরিষা গাছে ফুল এসেছে। এ সময় জাব পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সবজি ক্ষেতে হালকা সেচ দিতে হবে। বেগুন ডগা ও ফল ছিত্রকারী পোকার আক্রমন হলে কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ফেলতে হবে। শিমে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমন দেখা দিলে আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা দমন করতে হবে। কুমড়া জাতীয় সবজিতে মাছির আক্রমন হলে ফেরোমন ও বিষটোপ ব্যবহার করতে হবে। সবজিতে জাপ পোকার আক্রমন দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন গ্রুপের বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।