মার্কিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাত
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ছবি: আইএসপিআর
ঢাকা (০৭ ফেব্রুয়ারি): যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল ম্যাকনভিলসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। সরফরত অবস্থায় সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা পরির্দশন করেন।
পরিদর্শনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সামরিক স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ইউএস আর্মি সাইবার কমান্ড, ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিম কমান্ড, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কমান্ড, জরজিয়ার ম্যানুভার সেন্টার অব এক্সিলেন্স এবং লুসিয়ানার জয়েন্ট রেডিনেস ট্রেনিং সেন্টার।
আইএসপিআর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি, অফিস অব দ্যা সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি- সাউথ এন্ড সাউথইস্ট এশিয়া এবং ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সির প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এসময় যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতো বাংলাদেশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান আশা প্রকাশ করেন। বিশেষকরে বঙ্গবন্ধু হত্যার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল ম্যাকনভিলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
পরে দুই দেশের সেনাপ্রধানের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন বিষয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের মধ্যে মিলিটারি এক্সপার্ট এক্সচেঞ্জ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদেও মোতায়েন এবং কাউন্টার টেরোরিজম ও সাইবার ওয়ারফেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। ভবিষ্যতে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ বাড়বে বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।