কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় চালান ২২ ফেব্রুয়ারি আসছে: পাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা ‘কোভিশিল্ড’ টিকার প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছায়
ঢাকা(১৫ ফেব্রুয়ারি) : আগামি ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় চালান দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি জানান, দ্বিতীয় চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা আনা হবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানির কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেওয়ার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এখনই বেসরকারিভাবে টিকা আনার কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে পাপন বলেন, নিজেদের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে টিকা আনার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ সবাই বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছেন। ফলে এখনই বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আসছে না।
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এত ভালো ব্যবস্থাপনায় টিকা দিতে পারছে না জানিয়ে পাপন বলেন, সকলে টিকা নিন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হচ্ছে। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের।
ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবেও ২০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ টিকা গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এরপর ২৫ জানুয়ারি সেরাম থেকে বাংলাদেশের ক্রয় করা কোভিশিল্ডের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ নিরাপদে ঢাকায় আসে।
গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারাদেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে।
গত শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরুর প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে করোনার টিকা নিয়েছেন সাত লাখ ৩৬ হাজার ৬৮০ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬২১ জন এবং নারী ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৯ জন।