Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ

সোমবার

১৮ নভেম্বর ২০২৪


৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:১০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৯:৫২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ

ছবি: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামী

ঢাকা (১৬ ফেব্রুয়ারি): বিশিষ্ট লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় পাঁচ জঙ্গির ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। খবর ইউএনবি।

ফাঁসির দণ্ড পেয়েছেন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সামরিক শাখার প্রধান মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ও মো. আরাফাত রহমান। এদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

আরেক আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।

একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ মারা যান।

এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআই। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে দাবি করে পুলিশ।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী, লেখালেখি ও ভিন্নমতের জন্য অভিজিৎকে অনেক আগেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। 'বিশ্বাসের ভাইরাস' ও 'অবিশ্বাসের দর্শন' নামে দুটি বইকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আনসার আল ইসলাম।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ১১ এপ্রিল ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। বিচারক ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়