শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ পর্যালোচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
ঢাকা (২২ ফেব্রুয়ারি): শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা, তা পর্যালোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আগামি পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যেই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি না, কিংবা কীভাবে খোলা যাবে সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, `শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে বলা হয়েছে। তারা প্রিভিউ করবে আমরা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খুলব কি না এবং কখন খুলব। কুইকলি খোলা যায় কি না, কী পদ্ধতিতে খুলব- যাতে সেইফটিও ঠিক থাকে, একইসঙ্গে লেখাপড়াও হয়। কারণ, এতদিন হয়ে গেছে। অন্যান্য দেশে ভার্চুয়ালি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাই আছে। সেইসব দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন- আপনারা বসে চিন্তা-ভাবনা করেন আমরা খুলে দিতে পারি কিনা।`
জাহাঙ্গীরনগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়ে হলের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, `এটা আলোচনা হয়নি। তবে এটা আলোচনা হয়েছে যে, বিশেষ করে যারা আবাসিক শিক্ষার্থী তাদের সেইফটিই হলো সবচেয়ে বড় রিস্কের বিষয়। তাদের জন্য সেইফটি মেজার্স নিয়ে কীভাবে স্কুল-কলেজ খোলা যায়, সেটা দেখার জন্য বলা হয়েছে।`
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, `এই সপ্তাহে না হলে আমরা আগামি রবি-সোমবারের মধ্যে ইনশাআল্লাহ বসে যাব। বিশেষজ্ঞ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।`
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বেশ কয়েক দফায় বেড়ে এসেছে ছুটি। সর্বশেষ আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা দেওয়া হয়।
কিন্তু ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জরুরি সংবাদ সম্মেলেনে জানিয়েছেন, ২৪ মে থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে ১৭ মে থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়া হবে।