মুশতাকের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
লেখক মুশতাক আহমেদ (ফাইল ছবি)
ঢাকা (২৭ ফেব্রুয়ারি): লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকাস্থ উন্নত দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত। খবর বিবিসির।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতরা কী পরিস্থিতিতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ঘটেছে সেটা দ্রুত, স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাজ্য ও কানাডার হাইকমিশনারগণ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ধারাগুলো এবং তার বাস্তবায়ন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনগুলোর সঙ্গে এর সঙ্গতিবিধান নিয়ে তাদের যে উদ্বেগ; তা নিয়ে তারা বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও এক বিবৃতিতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি বিদ্রুপাত্মক কার্টুনের ক্যাপশন দেয়া এবং সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গেল বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় গ্রেফতারের পর নয় মাস ধরে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি ছয়বার জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ করা হয়। সামনের সপ্তাহে হাইকোর্টে তার জামিন শুনানির কথা ছিল।
সরকার বলছে, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর কারণ যাই হোক, তদন্ত করে দেখা হবে। তার মৃত্যুতে চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল কিনা খতিয়ে দেখে দুই সদস্যের এই কমিটিকে আগামি দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগারে বন্দি মুশতাক আহমেদ বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বামপন্থী ছাত্র সংগঠন মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।