ছাত্রদলের ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
দুই পুলিশ সদস্যকে বাঁশ দিয়ে পেটাতে উদ্যত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী এক কর্মী
ঢাকা (১ মার্চ): জাতীয় প্রেসক্লাবে পুলিশ-নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের ৪৭ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ঘটে।
সোমবার সকালে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এজাহারে ৪৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনের কথা উল্লেখ হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে উপস্থাপন করা হবে। রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালা ভাঙচুরসহ পুলিশের ওপর হামলা চালায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর-উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালার ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানায়, এ কর্মসূচির জন্য তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
ঘটনাস্থল প্রেস ক্লাব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে সাত-আটজন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ছাত্রদলের আরো তিন নেতাকর্মীকে আটক করে গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম।