Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

মঙ্গলবার

১৯ নভেম্বর ২০২৪


৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৮ মার্চ ২০২১   আপডেট: ০৬:১৮, ৮ মার্চ ২০২১
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

ঢাকা (০৮ মার্চ): আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবস পালন করছে।

এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’। এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী। তাদের ওপরে দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ। নানা ঘটনার পরে ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়।

এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহাগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়, ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সম অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে। ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে থাকে।

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশে নারীর সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করে দিবসটি পালন শুরু হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচারবিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, এদেশের নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি বলেন, “নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারিত্ব। আর তাই সারা বিশ্বে বদলে গেছে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এখন নারীর কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বীকৃতি।”

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সম অধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেছেন। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট প্রণয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। হ্রাস পাচ্ছে নারীর দারিদ্র্য।

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বাণীতে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী জেন্ডার সমতার কয়েক দশকের অগ্রগতি বিনষ্ট করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ‘কর্মহীনতার উচ্চহার থেকে শুরু করে অবৈতনিক সেবার ব্যাপক বোঝা, স্কুল বিঘ্নিত হওয়া থেকে শুরু করে পারিবারিক সহিংসতা ও শোষণের ক্রমবর্ধমান সংকট পর্যন্ত নারীদের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও অধিকার হয়েছে বিঘ্নিত। মায়েরা বিশেষ করে একক নারীপ্রধান পরিবারের মায়েরা - তীব্র উদ্বেগ এবং প্রতিকূলতার সম্মুখিন হয়েছে। এর পরিণতি মহামারী শেষ হওয়ার পরও বহুদিন চলতে থাকবে।

মহামারী মোকাবেলায় নারীগণ প্রথম সারির ভূমিকাও পালন করছেন উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, মহামারীর এই সময়ে তাঁরা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং অর্থনীতি, সম্প্রদায়সমূহ এবং পরিবারগুলোকে একত্রে ধরে রাখার জন্য অত্যাবশ্যক কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

নারীদের সমান অংশগ্রহণকে এগিয়ে নিতে এবং দ্রুত অগ্রগতি অর্জনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কোটা স্থাপন করার জন্য তিনি দেশসমুহ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন দপ্তরগুলোকে আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, ‘সকলের জন্য সমান ভবিষ্যত গড়ার এখনই সময়। সকলের কল্যাণের জন্য কাজটি করা সবার দায়িত্ব।’

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়