শিশুকে পেটানো শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: মাদ্রাসা শিক্ষক ইয়াহিয়া
ঢাকা (১১ মার্চ): চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শিশু শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রোববারের মধ্যে তা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হাটহাজারী থানার ওসিকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিষয়টি নজরে আনার পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারকে কোনো পক্ষ কোনো চাপ সৃষ্টি করেছিল কি না, নির্যাতিত শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কি না, শিশুটির পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে কি না- সেসব তথ্যও জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনকারী ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করার দায়িত্ব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কি না, তাও আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদা শুনানি শেষে ইয়াহিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মাওলানা ইয়াহিয়া হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষক। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, হেফজ বিভাগের শিশুটির জন্মদিন ছিল বুধবার। এ উপলক্ষে তাকে দেখতে মঙ্গলবার বিকালে মা-বাবা মাদ্রাসায় আসেন। তারা চলে যাওয়ার পরপরই শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হয়। তখন শিশুটিকে ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন শিক্ষক ইয়াহিয়া। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষক ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যান। পরে তিনি শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।