দেড় লাখ টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে: ডা. জাফরুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ঢাকা (১১ মার্চ): মাত্র দেড় লাখ টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।
ডা. মাসরুরা জাবীনের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফি, ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিডনি রোগীদের নিঃস্ব করছে ওষুধ। সরকার চাইলেই এর দাম কমাতে পারে। ডায়ালাইসিসে প্রচুর খরচ, যা আমাদের নিম্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বহন করা খুবই কষ্টকর। তাই প্রতিস্থাপনই একমাত্র পথ।
সমাজের বিত্তবান ও দানশীল প্রতিষ্ঠানকে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের মতো দানশীন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদানে একটি আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ট্রান্সপ্লান্ট দলের কারিগরি তত্ত্বাবধানে যুক্তরাজ্যের রয়াল লন্ডন হাসপাতালের সহায়তায় গণস্বাস্থ্য স্যার ফজলে হাসান আবেদ ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। যার আনুমানিক প্রাক্কালন ৭৫ কোটি টাকা। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যেখানে খরচ হয় ৩০ লাখ টাকা সেখানে আমরা কম খরচে মাত্র দেড় লাখ টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারব।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্য কোনো রোগ হলে ওষুধ খেয়ে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কিডনি দীর্ঘমেয়াদী রোগ হওয়ায় ব্যয়ভার অনেক বেশি। সরকার ভারতীয় কোম্পানিকে ২২০০ টাকা সাবসিডিয়ারি দেয়, আমরা ৯০০ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু তা-ই পাচ্ছি না। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া কিডনি সমস্যা নিরসন করা সম্ভব নয়।
কিডনি প্রতিস্থাপনে ইরানের পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ইরানে কিডনি দাতাকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। ব্যক্তির সঙ্গে নয়, কিডনি বিনিময় রাষ্ট্রের সঙ্গে হয় সেখানে। ফলে সেখানে কোনো ধরনের পাচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।