কোনো অপশক্তিই উন্নয়ন থামিয়ে দিতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)
ঢাকা (১৭ মার্চ): বাংলাদেশ এখন যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে একে সহজে নামানো যাবে না মন্তব্য করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কোনো অপশক্তিই বাংলাদেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে পারবে না।’
বুধবার বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে সভাপতির তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এমন সময় মুজিববর্ষ উৎযাপন করছি, যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশ বিরোধীরা এখনও সক্রিয় রয়েছে। সবাই মিলে তাদের প্রতিহত করে আসুন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এখন আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১২ বছরের নিরলস প্রচেষ্টা এবং জনগণের ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফসল আজকের এই প্রাপ্তি। এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবই, ইনশাআল্লাহ। এটাই আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা।
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি এখনও দেশে-বিদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে এ অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শুভ জন্মদিনে আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব অপতৎপরতা প্রতিহত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক্ষার প্রহরের আজ অবসান হতে চলেছে। আজ এমন এক সময়ে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মর্যাদাশীল উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মাথাপিছু আয় সম্মানজনক দুই হাজার মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। আর্থ-সামজিক সূচকে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছে। বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মহামারিও সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে।
সূচনার দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি মালদ্বীপের জনগণকেও শুভেচ্ছা জানান।
এছাড়া শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাকে দেশবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় তার প্রতিও প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।