বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি থেকে সংগৃহীত
ঢাকা (১৮ মার্চ): সবাইকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাস করানোর ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১’র উদ্বোধন ঘোষণার সময় তিনি এ আহবান জানান। আর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজি অনুবাদের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা। প্রধানমন্ত্রী এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবারের গ্রন্থমেলার উদ্বোধন বাংলা একাডেমি প্রান্তে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এ বছরের বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রন্থমেলায় যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বই কেনা এবং বই পড়ার পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখার মানে হলো অন্যদের স্বাস্থ্যকেও সুরক্ষিত রাখা।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সচিব বদরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার কবিতায় মুহাম্মদ সামাদ, কথা সাহিত্যে ইমতিয়ার শামীম, প্রবন্ধ/গবেষণায় বেগম আকতার কামাল, অনুবাদে সুরেশরঞ্জন বসাক, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনীতে ফেরদৌসী মজুমদার এবং ফোকলোর বিভাগে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা মেলা ঘুরে দেখেন। তার কিছুক্ষণ পরই সাধারণ দর্শনার্থী, লেখক ও পাঠকদের জন্য বইমেলার দুয়ার খুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হচ্ছে। এবারের গ্রন্থমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট এলাকার মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট, মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।
এ উৎসবে বই বিক্রি করা হবে ২৫ শতাংশ ছাড়ে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। বইমেলা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে।