Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: তিন সদস্যের কমিটি গঠন

মঙ্গলবার

১৯ নভেম্বর ২০২৪


৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: তিন সদস্যের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ৯ জুলাই ২০২৪  
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: তিন সদস্যের কমিটি গঠন

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন। 
কমিশনের একজন যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি। তারপরও পুরো ঘটনাটি আরও অধিকতর তদন্ত করতে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সবগুলো পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। 

কমিশনের যুগ্ম সচিব ড. আব্দুল আলীম খানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেন- কমিশনের পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা ও মোহাম্মদ আজিজুল হক।

গত ১২ বছরে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

সোমবার রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে এই মামলা করা হয়। মামলা নং ১৫। মামলায় আসামির সংখ্যা অর্ধ শতাধিক দেখানো হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত রোববার রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে পিএসসির গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে।

এদিকে, বেসরকারি একটি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ সামনে এসেছে, বিষয়টি যথাযথ কি না তা নিয়ে সন্দিহান সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। সোমবার রাতে পিএসসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে পিএসসি। তাতে ওই টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিষয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে সই করেছেন পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান।

তাতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার দুইদিন পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি যথাযথ কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের নন-ক্যাডার ‘উপসহকারী প্রকৌশলী’ পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপে আসে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও প্রশ্নফাঁস রোধে প্রতিটি বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষায় ন্যূনতম ছয় সেট প্রশ্নপত্র এবং নন-ক্যাডার পরীক্ষায় ন্যূনতম চার সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়। কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করা হয় পরীক্ষা শুরুর ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট আগে। সেটিও লটারির মাধ্যমে।

এতে আরও বলা হয়, বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষার ক্ষেত্রে লটারির সময় দেশের প্রথিতযশা দুইজন নাগরিক, কমিশনের চেয়ারম্যান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সদস্যসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত থাকেন। একইভাবে নন-ক্যাডার পরীক্ষার ক্ষেত্রে কমিশনের চেয়ারম্যান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সদস্যসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত থাকেন।

গত ৫ জুলাই রেলওয়ের নন-ক্যাডার উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই নিয়ম অনুসরণ করে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে লটারি করে কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, সে বিষয়টি সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সংশ্লিষ্টদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, তা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে কারোরই জানার সুযোগ নেই।’

বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি আরও উল্লেখ করেছে, কমিশনের আওতাভুক্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র সমীক্ষণ ও মুদ্রণ সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে করা হয় এবং তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এসব কারণে পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রশ্নফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে।

পিএসসির দাবি, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি যেকোনো ব্যক্তির নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকে। কিন্তু পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দুইদিন পরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি যথাযথ কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পিএসসির কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজসহ জনমনে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। পিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। সেই আস্থা ও বিশ্বাস সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে যথাসময়ে অভিযোগ না হওয়া সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস বা প্রতারণা বা অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ হয়, তাহলে কমিশন সংশ্লিষ্টের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়