সবাইকে নিজের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা (২৬ মার্চ): স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে এক করে দেখলে চলবে না।

শুক্রবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গর্বের ও সম্মানের। কারণ ১৯৭১ সালে মার্চের এই দিনের প্রথম প্রহরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই স্বাধীনতা একদিনে বা হঠাৎ করে আসেনি। অনেক ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের উন্নয়ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের একক দায়িত্ব নয়। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বাধীনতা মানুষের অধিকার। অধিকারকে অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেই স্বাধীনতা অর্থবহ হয়ে ওঠে। আবার অধিকারের অপপ্রয়োগ স্বাধীনতাকে খর্ব করে। স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে এক করে দেখলে চলবে না।

তিনি বলেন, গৌরব ও ত্যাগের অনুপম বীরত্বগাথা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। আমরা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জনকারী জাতি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে দাঁড়িয়ে আমরা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সুবর্ণ আলো দেখতে পাই। জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাব মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভক্ষণে এটাই হোক সকলের চাওয়া-পাওয়া।

রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থন ও  সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর মর্যাদাপূর্ণ নিষ্পত্তি হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যৌথভাবে উদযাপনে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয় ১৭ মার্চ। শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে এ কর্মসূচি শেষ হচ্ছে।