শেখ হাসিনা ভারতে থেকে ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্ত করছেন : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে চক্রান্ত শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ অভিযোগ করেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটিতে নতুন অর্ন্তভুক্ত হওয়া সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে আজ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে চক্রান্ত শুরু করেছেন। কিন্তু এই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার যে অপরাধ তা খাটো করে দেখে না, বরং তারা মনে করে গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে দুর্বল করে দিয়েছে, অগ্রগতি যাত্রাকে ব্যাহত করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন তার শাসনামলে এই জাতিকে ১৮ লাখ কোটি টাকা খণে আবদ্ধ করে গেছে, পাচার হয়ে গেছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। সেই জাতির সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দিয়েছে। সেই ব্যক্তিকে এভাবে আশ্রয় দিয়ে ভারত তার কমিটমেন্ট অব ডেমোক্রেসি রক্ষা করেছে বলে আমাদের মনে হয় না। তাই ভারতের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা তাকে আইনানুগভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে দেন। দেশের মানুষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত হচ্ছে তার বিচার করা, সেই বিচারের সম্মুখীন তাকে হতে দেন।’
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের বক্তব্যে আগেও বলেছি, এখনও বলছি; এই সরকার হচ্ছে একটি গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে নির্বাচন করে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া। তবে আমরা মনে করি, যে ঝঞ্ঝাল আওয়ামী লীগ সরকার সৃষ্টি করে গেছে, সেটাকে দূর করতে অবশ্যই কিছু সময়ের দরকার। একটা সঠিক সুন্দর নির্বাচন করার জন্য হলেও একটা সময়ের দরকার যেটা এই অন্তর্বর্তী সরকার দূর করতে পারবে, সংস্কার করতে পারবে। সেই সময় এই দেশের মানুষ অবশ্যই তাদেরকে দেবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স কত দিন? মাত্র ১১ দিনে তারা যেসব কাজ করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয়।’