জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়তে সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, একটি দক্ষ-নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দিয়ে যুক্তরাজ্য সহায়তা করতে পারে।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের কাছে সৌজন্য সাক্ষাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে সন্ত্রাস দমনে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা, অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলা, পুলিশ সংস্কারে সহায়তা, বন্যা পুনর্বাসন ও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন, একটি দক্ষ-নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি, তবে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দিয়ে যুক্তরাজ্য সহায়তা করতে পারে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নানা কাজের সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সভাপতি করে, পাঁচ সদস্যের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। যারা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দিতে তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারে। আগামী মাসে এ সংক্রান্ত যুক্তরাজ্যের একটি এক্সপার্ট টিম বাংলাদেশ সফর করবে।
সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর সংঘটিত সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার প্রত্যাশা করে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইন ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের বাংলাদেশ সফরের কথা হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা দিতে ইচ্ছুক। সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাজ্য বেশ কয়েক বছর ধরে, বাংলাদেশের সঙ্গে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমরা সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। উপদেষ্টা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাসের কথা বলেন।
যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করে সারাহ কুক জানান, এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
উপদেষ্টা এ সময় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা কামনা করেন।