Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

বৃহস্পতিবার

১৪ নভেম্বর ২০২৪


৩০ কার্তিক ১৪৩১,

১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় সংসদে বিল পাস

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৮ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২০
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা (১৭ নভেম্বর): ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০০০' জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। এ বিলে ‘ধর্ষিতা’ শব্দের পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ যোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রসরমান ধারা আজ বিশ্বব্যাপী নন্দিত ও প্রশংসিত। বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ঊর্ধ্বগামী পরিক্রমণের মধ্যে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটন, সামাজিক গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব রাখাসহ সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের ধারাকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ ধরনের হীন অপরাধ দমনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দণ্ডারোপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা নেওয়া-সময় ও পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় অত্যাবশ্যক।’

নতুন সংশোধিত আইন অনুযায়ী ৯(১) উপধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

আইনের ৯(৪) (ক) উপধারায় ছিল, ‘যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তা হলে ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।’ এই উপধারা সংশোধন করে পাস হওয়া বিলে ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’র পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো যোগ করা হয়েছে।

বিলে মূল আইনের খসড়ায় ৯(১) উপধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ উত্থাপন করেন। বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ২৫ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত) আইন, ২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
 
এরও আগে ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। আর ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করেন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়