আগ্নেয়াস্ত্র, প্রশিক্ষণ সামগ্রী জব্দ
সিরাজগঞ্জে ‘জঙ্গী আস্তানা’ থেকে চারজন আত্মসমর্পণ করেছে: র্যাব
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জ (২০ নভেম্বর): সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে বেরিয়ে এসে ৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার। শুক্রবার দুপুরে শাহজাদপুরের উকিলপাড়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কর্নেল তোফায়েল বলেন, ‘জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেই তারা ২০ থেকে ২৫ দিন আগে এই বাসাটি ভাড়া নেয়।’ তিনি বলেন, ‘নব্য জেএমবির এই সদস্যরা ছদ্মবেশে এই এলাকায় থেকে প্রচারণা চালায়। জিদাহিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তারা এই বাড়িতে নিয়ে আসতো।’
এখনো বাড়িতে তল্লাসী চলছে জানিয়ে কর্নেল সারোয়ার আরও বলেন, ‘বাড়িতে কয়েকটি ব্যাগ আছে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বড় ধরনের অস্ত্রের ডাম্প এখানে নেই। তাদের কাছে বিস্ফোরণ করার মতো কিছু ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই বাড়ি থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, গান পাউডার, ফিউজ, জিহাদি বই, বিভিন্ন নির্দেশনামূলক বই, একটি চাপাতি ও দুটি রামদা পাওয়া গেছে।’
এর আগে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে এই বাড়ি ঘিরে রেখেছিল র্যাব। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রাথমিক অবস্থায় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভেতর থেকে চার থেকে পাঁচটি গুলি ছোড়া হয়। এ অবস্থায় ওই বাড়ির আশপাশ থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। এরপর চূড়ান্ত অভিযান শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতরে থাকা চারজন বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকারী চার জন হলেন, নব্য জেএমবির আঞ্চলিক সেকেন্ড ইন কমান্ড কিরণ ওরফে শামীম ওরফে হামিম, পাবনার সাঁথিয়ার নাইমুল ইসলাম, দিনাজপুরের আতিয়ার রহমান ওরফে কলম সৈনিক ও সাতক্ষীরার আমিনুল ইসলাম ওরফে শান্ত।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ১৯ নভেম্বর রাজশাহী শাহ মখদুম থেকে মাসিক সভা করার সময় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে নব্য জেএমবির রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান মাহমুদও রয়েছে। তাদের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী এই বাড়িটিতে জঙ্গি আস্তানা রয়েছে বলে জানা যায়।