সবাই টিকা দেবে বলে, কিন্তু হাতে আসছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১০ জুন): সবাই বলে টিকা দেবে কিন্তু হাতে আসছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি পূরণের জন্য বিভিন্ন দেশকে টিকা পাঠানোর অনুরোধ করেছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের কাছে ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আছে জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুরোধ জানালাম এমন তথ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরে জানা গেল, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কম বলে যে দেশগুলোতে টিকা দেওয়া হবে, তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশ নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরে অবশ্য আমরা জেনেছি আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকেও দেবে সেটা বলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
করোনার টিকা সর্বজনীন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলে আসছেন সব দেশের লোকের জন্য বৈষম্যহীনভাবে টিকা পাওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ আছে গরিব দেশগুলোর কাছে। এ জন্য টিকা নিয়ে হাহাকার। কেউ টিকা পাচ্ছে না।
এর আগে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে সাড়ে ১৪০০ কেজি ওষুধ হস্তান্তর করা হয় ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের কাছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের কাছে এ ওষুধ হস্তান্তর করেন।
এ সময় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক শফিউজ্জামানের নেতৃত্বে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওষুধ হস্তান্তরের পর ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, প্রতিদানের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের নাই। দ্বিতীয় দফা এই ওষুধ পাচ্ছি আমরা। প্রথম দফায় দেওয়া ওষুধ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনে পৌঁছে গেছে। ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতদিন ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ না করছে বাংলাদেশ ততদিন দেশটির সাথে থাকবে। যদিও দখলদাররা বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আমি বলেছি, ফিলিস্তিনিরা আমাদের ভাই। আমরা তাদের সাথে আছি।