শুক্রবার

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৫ আশ্বিন ১৪৩১,

১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২৬ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ২৩:২৯, ২৬ নভেম্বর ২০২০
অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার

ঢাকা (২৬ নভেম্বর): অপরাধী কোন দলের সেটা বিবেচনায় না নিয়ে তাকে অপরাধী হিসেবে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১৬, ১১৭ এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে কারও মুখ চেয়ে না..যারাই অপরাধী, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন, এটাই আমরা কথা। সে যে দলের হোক, যে কেউ হোক, অপরাধী অপরাধীই। কাজেই অপরাধী হিসেবে দেখে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সমাজটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং সেটাই আপনারা করবেন।”

সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশটাকে উন্নত করতে হলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযুক্ত কর্মচারী আমরা গড়ে তুলতে চাই, যেন মানুষ তার সেবাটা পায়। সেটাই আপনারা দেবেন। এটাই আপনাদের কাজ।”

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার দেওয়া ভাষণের একটি অংশ উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি চাকরি করেন আপনার মাইনে দেয় গরীব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় ওই গরীব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়, আমি গাড়ি চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন। ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক’। অর্থাৎ কোন মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না বা তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে।”

নিজের শৈশবের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে এটা শিখেছি। আমাদের বাড়ির ড্রাইভারকেও ড্রাইভার সাহেব বলতে হত, আপনি বলতে হত। আমাদের বাড়ির কাজের লোক কখনও চাকর-বাকর বলে বা হুকুম দিতে পারতাম না। এটা নিষিদ্ধ ছিল। আমার বাবা-মা আমাদেরকে দিতে দেননি, আমরা দেইনি। আমরা তাদেরকে বলতে গেলে.. কিছু চাইলে বলতে হবে এটা কি একটু দিতে পারবে? এখনও তাই করি। সেটাই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, আমরা সেটাই করি।”

সবাই যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পাশপাশি জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করতে কাজ করারও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, “আমাদের এটাই থাকবে আপনাদের কাছে আকাঙ্ক্ষা, আপনাদের যে মেধা, আপনাদের জ্ঞান, আপনাদের বুদ্ধি, মনন সেগুলো আপনারা কাজে লাগাবেন দেশ ও জাতির সেবায়। এদেশের মানুষ যেন নিরাপদ থাকতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে আর বিশ্ব দরবারে আমরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারি সম্মানের সাথে।”

মহামারীতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশপাশি দেশবাসীকে সতর্ক থাকতেও নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বুক করে ফেলেছি। ইনশাল্লাহ যখনই শুরু হবে আমরা তখনই বাংলাদেশ আনতে পারবে। তার প্রস্তুতিও আমাদের নিতে হবে। ইতিমধ্যে সেই বিষয়ে আমি নির্দেশনা দিয়েছি যে ভ্যাকসিনটা সংগ্রহ করা, রাখা এবং প্রয়োগ করা। প্রযোগ করার পর কি কি করনীয় এই বিষয়ে সমস্ত দিকনির্দেশনা আমার দেওয়া আছে। সেটা মেনেই আমাদেরকে এই অবস্থার থেকে উত্তরন ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি প্রান্তে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়