রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের ভাসানচর যাত্রা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
রোহিঙ্গারা শুক্রবার সকালে আট জাহাজে করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন। ছবি: ইউএনবি
ঢাকা (০৪ ডিসেম্বর): চট্টগ্রামের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে রাত্রি যাপন শেষে অবশেষে নোয়াখালীর ভাসানচর যাওয়া শুরু করেছেন কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। খবর ইউএনবি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তিনটি ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রা শুরু হয়েছে। এর আগে, সকাল ৯টা থেকে তাদের জাহাজে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়।
আটটি জাহাজে করে মোট ১ হাজার ৬৪২ জনকে ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে বলে নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে নিতে এসব রোহিঙ্গাদের ২০টি বাসে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। বাসের নিরাপত্তায় ছিল পুলিশ। এখন চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বাথ জেটি ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠ এলাকায় তাবু টাঙিয়ে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়। রাতে রোহিঙ্গাদের এখানে রাখা হয়।
সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধুমাত্র আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২ উন্নয়ন সংস্থা। তাদের স্থানান্তরের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করছে সরকার।
রোহিঙ্গাদের জাহাজে উঠানোর পূর্বে বিভিন্ন তথ্য পূরণ সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ভাসানচরকে বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক লাখ মানুষকে সরকার ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। সে জন্য চরটিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, সরকার জোর করে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাচ্ছে না। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা জোর করে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাচ্ছি না। যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে যাচ্ছি। তারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় উল্লেখ করেন যে তারা কাউকে জোর করে ভাসানচরে নেবেন না। ‘আমরা এখনও আগের অবস্থানেই আছি।’