বড় ব্যবধানে বাংলাদেশের হার
ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানে হারে বাংলাদেশ (সংগৃহীত)
ঢাকা (২৮ মার্চ): নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাট করতে নেমে ২১১ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশকে। জবাবে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ১৪৪ রানে থেমে যায়।
হ্যামিলটনের সেডন পার্কে তিন ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের টসে হারলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে টসে জিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামে নিউজিল্যান্ড।
মাঠে নেমেই টাইগার বোলারদের তুলোধোনা করলো কিউই ব্যাটসম্যানরা। প্রথম টি-২০ ম্যাচে ডেভন কনওয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশকে ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। শেষ ৫ ওভারে ৮১ রান সংগ্রহ করে কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপের জুটি।
কিউইদের রানের পাহাড়ে বিপরীতে ব্যাটিংয়ে নেমেই সমর্থকদের হতাশ করেছে বাংলাদেশ। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ওপেনার মোহাম্মদ নাইমের পর ভালো ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন। এ তরুণ অলরাউন্ডারের ব্যাটে ভর কওে কোনো মতে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে বাংলাদেশ।
৫৯ রানেই ৬ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই অধিনায়ক টিম সাউদির বলে ইশ শোধির হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর
২৭ রানে ব্যাট করে থিতু হওয়া ওপেনার নাঈমও ফারগুনের এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হন।
পরে মিঠুন নামলে তার সঙ্গে জুটি গড়তে পারেননি সৌম্য সরকার। স্পিনার ইশ শোধির ডেলিভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। রান করেন মাত্র ৫। এক বল খেলে এক রান নিয়ে মিঠুনকে স্ট্রাইক দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এখানেও ইশ শোধির জোড়া শিকারে পরিণত হন মিঠুন। দলীয় সংগ্রহে ৪ রান যোগ করেই সাজঘরের পথে হাঁটেন মিঠুন।
নিজের তৃতীয় ওভাওে আবারও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ইশ শোধি। পর পর দুই বলে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসানকে। মাহমুদউল্লাহ করেন ১১ রান। আর শূণ্য রানে আউট হন মেহেদী। স্কোরবোর্ডে ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এই অবস্থায় অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আফিফ। সপ্তম উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন আফিফ-সাইফ। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে হার মানেন আফিফ। তার এই ইনিংসে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কার মার ছিল।
ঘামিশ বেনেটের বলে অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে শরীফুল ইসলামকে সাজঘরে ফেরান মার্টিন গাপটিল। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৭৭ রানের। নিশ্চিত হারের ম্যাচে অপরাজিত হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
৩২ বলে ৩০ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট ১৪৪ রান সংগ্রহ করে সফরকারী বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট হাতে নেমে শূন্য রানে ফেরেন কিউই ওপেনার ফিল এলেন। সরাসরি তাকে স্ট্যাম্প আউট করেনে অভিষিক্ত বোলার নাসুম আহমেদ।প্রতাপশালী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলকেও থামিয়ে দেন নাসুম। ২৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে নাসুমের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ তুলে দেন গাপটিল। দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনে ও চার নম্বরে নামা দুই ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজসেরা ডেভন কনওয়ে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন।
৫২ বল খেলে হার না মানা ৯২ রান করেন তিনি। অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যান উইল ইয়ং ৩০ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান।