শনিবার

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৬ আশ্বিন ১৪৩১,

১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ : জয় দিয়ে শুরু রাজশাহী

ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৩:০৮, ২৫ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:১৮, ২৫ নভেম্বর ২০২০
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ : জয় দিয়ে শুরু রাজশাহী

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার

ঢাকা( ২৪ নভেম্বর) : বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত জয় দিয়ে শুরু করেছে  রাজশাহী। দলটির অলরাউন্ডার মেহেদি হাসানের দুর্দান্ত খেলায় এই জয় নিশ্চিত হয়। টান টান উত্তেজনায় ভরপুর উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে রাজশাহী। 

চরম প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ এই ম্যাচে মেহেদী হাসান ৩২ বলে ৫০ রান ও শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করে রাজশাহীর জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।

টুর্নামেন্টের শুরুতে টসে জিতে প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে ঢাকা। 

মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল রাজশাহীর  দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা।

১৬ বলে ২ ছক্কায় ১৭ রান করে ঢাকার স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে আউট হন শান্ত। এরপর তিন ব্যাটসম্যান- রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ দ্রুতই ফিরেন। রনি ৬, আশরাফুল ৫ রান করে ঢাকার পেসার মুক্তার আলীর শিকার হন। রানের খাতা না খুলেই রান আউট হন ফজলে। এর মাঝে ২৩ বলে ৩৫ রান করে থামেন ওপেনার ইমন। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। দলীয় ৬৫ রানে রাজশাহীর পঞ্চম উইকেট পতনের দলের হাল ধরেন উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান ও মেহেদি।

ঢাকার বোলারদের উপর আক্রমনাতœক ব্যাট চালান তারা। ৬ষ্ঠ উইকেটে এই দুজন ৪৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি উপহার দেন। ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রান করে ঢাকার মুক্তারের তৃতীয় শিকার হন নুরুল। তবে ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদি। হাফ-সেঞ্চুরিতে পা দিয়েই থামতে হয় তাকে। মেহেদির ইনিংসে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। শেষদিকে ফরহাদ রেজার ৬ বলে অপরাজিত ১১ রানে লড়াকু পুঁজিতে পৌছায় রাজশাহী। ঢাকার মুক্তার ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন।

১৭০ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু হয়নি ঢাকার। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। রান তোলার গতি ওভার প্রতি ছিলো ৮ এর কাছে। দুই ওপেনার তানজীদ হাসান-ইয়াসির আলি যথাক্রমে ১৮ ও ৯ রান করেন। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ নাইম ২৬ রানে ফিরেন। ৪১ বলে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। ৫৩ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। এর মধ্যে ২৯ বলে ৩৪ রান অবদান ছিল আকবরের। তার ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল।

আকবরকে শিকার করে রাজশাহীকে খেলায় ফিরিয়ে আনে পেসার ফরহাদ। আকবরের ফিরে যাবার কিছুক্ষণ পর আউট হন মুশফিকও। ম্যাচ জিততে শেষ ৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬ রানের প্রয়োজন ঢাকার। ১৯তম ওভারে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা মারেন মুক্তার আলী। তাতে ম্যাচ জয়ের সুযোগ তৈরি হয়ে যায় ঢাকার সামনে। শেষ ওভারে ৯ রানের দরকার পড়ে তাদের। শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে কোন রান দেননি রাজশাহীর মেহেদি।

চতুর্থ বলে বাউন্ডারি তুলে নেন মুক্তার। পরের ডেলিভারিটি নো-বল করেন মেহেদি। তাতে শেষ ২ বলে ৪ রানের সমীকরন দাড়ায় ঢাকার সামনে। পঞ্চম বল ডট ও শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুক্তার। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় ঢাকা। দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মুশফিক। তার ৩৪ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। রাজশাহীর মেহেদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট  নেন। ব্যাট হাতে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাচ সেরা মেহেদি।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়