Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
ফুটবল কিংবদন্তির ম্যারাডোনার উল্লেখযোগ্য ঘটনা

শুক্রবার

১৫ নভেম্বর ২০২৪


১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল কিংবদন্তির ম্যারাডোনার উল্লেখযোগ্য ঘটনা

ক্রীড়া ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ২৬ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:৫৫, ২৬ নভেম্বর ২০২০
ফুটবল কিংবদন্তির ম্যারাডোনার উল্লেখযোগ্য ঘটনা

ছবি: দিয়েগো ম্যারাডোনা (সংগৃহীত)

ঢাকা (২৬ নভেম্বর): ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোর জীবন ছিলো বর্ণাঢ্য ও রোমাঞ্চকর। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাত্র ৬০ বছল বয়সেই মারা যান ফুটবলের এই জাদুকর। এর আগে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। 

তাঁর মৃত্যুর খবরে সারাবিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের শোক নেমে আসে। এই কিংবদন্তি মারা গেলেও রেখে গেছেন অসংখ্যা স্মৃতি। সংক্ষেপে তাঁর স্মৃতি তেকে বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরা হল।

১. ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আইরেসের উপকণ্ঠে ম্যারাডোনার জন্ম।

২. ১৯৭৬ সালের ২০ অক্টোবর মাত্র ১৫ বছর বয়সে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ম্যারাডোনার।

৩. জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলেন তিনি, গোল করেন ৩৪টি। 

৪. নিজ দেশ আর্জেন্টিনার হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন ম্যারাডোনা।

৫. বিশ্বকাপে কোনো দলের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ম্যারাডোনার। ১৬টি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

৬.  বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মোট ২১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

৭. ১৯৭৯ সালে জাপানে হওয়া যুব বিশ্বকাপে বাজিমাত করা আর্জেন্টিনা দলে ছিলেন ম্যারাডোনা।

৮. বুয়েন্স আইরেসে ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১৬ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক।

৯.  বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড ম্যারাডোনার। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে মোট ৫৩ বার তাকে ফাউল করা হয়েছিল।

১০. বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশিবার ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও তার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে ২৩ বার ফাউলের শিকার হন তিনি।

১১. ম্যারাডোনার অধিনায়কত্বে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয় করে আর্জেন্টিনা।

১২. ওই আসরে ম্যারাডোনা তার অসামান্য পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে জেতেন গোল্ডেন বল।

১৩. ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে হাত দিয়ে গোল করেন ম্যারাডোনা। ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে যে গোলটি এক নামে পরিচিতি। ওই গোল নিয়ে পরে তিনি বলেছিলেন, “ওই গোলটি কিছুটা ঈশ্বরের হাত এবং কিছুটা ম্যারাডোনার মাথা থেকে হয়েছিল।”

১৪. ১৯৮৯ সালের ৭ নভেম্বর ক্লাওদিও ভিয়াফানকে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা। ২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।

১৫. ২০০৮ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন।

১৬. ম্যারাডোনার বাহুতে আছে চে গুয়েভারা এবং বাঁ পায়ে আছে ফিদেল কাস্ত্রোর ট্যাট্টু। 

১৭. আর্জেন্টিনোর জুনিয়র্স নিজেদের স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছে ইস্তাদিও দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা।

১৮. হ্যান্ড অব গড-গোলের চার মিনিট পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেই কোয়ার্টার-ফাইনালে দুর্দান্ত  ড্রিবলিংয়ে ইংল্যান্ডের  ডিফেন্ডারদের ছিটকে দিয়ে পিটার শিলটনকে পরাস্ত  করে স্কোরলাইন ২-০ করেছিলেন। ফিফা এ গোলটিকেই ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

১৯. ম্যারাডোনা ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ট্রান্সফার ফির রেকর্ড দুইবার ভেঙেছেন।

২০. ম্যারাডোনা এবং মেসিই কেবল ফিফা বিশ্বকাপ ও ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়