শুক্রবার

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৫ আশ্বিন ১৪৩১,

১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

৩ দিন শ্রদ্ধা জানাতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে ম্যারাডোনার মরদেহ

ক্রীড়া ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৬ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:৩৭, ২৬ নভেম্বর ২০২০
৩ দিন শ্রদ্ধা জানাতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে ম্যারাডোনার মরদেহ

বুয়েনস আয়েরেসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে ম্যারাডোনার মরদেহ। ছবি: সংগৃহীত।

ঢাকা (২৬ নভেম্বর): বুয়েনস আয়েরেসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় কাসা রোসাদায় নেওয়া হয়েছে ফুটবল ঈশ্বর খ্যাত ম্যারাডোনার মরদেহ। সেখানে বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের জন্য রাখা হবে। এই তিন দিন সেখানেই ফুটবল জাদুকরকে শ্রদ্ধা জানাবে ফুটবলপ্রেমীরা। বৃহস্পতিবার বুয়েনস আয়েরেস টাইমস-এর এক রিপোর্টে এ খবর জানা গেছে।

রিপোর্টে বলা হয়, কাসা রোসাদায় ম্যারাডোনার মরদেহ রাখার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে ব্যবহার না করা ভবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বুয়েন্স আইরেসের তিগ্রেতে অবস্থিত নিজ বাসভবন থেকে ময়নাতদন্তের জন্য সান ফার্নান্দোর একটি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় ম্যারাডোনার মরদেহ।

বুধবার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন সময় বিকেলে এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্থানীয় গণমাধ্যম।

৬০তম জন্মদিনের পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে থাকা রক্তও (ক্লট) অপসারণ করা হয়েছিল এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির। এরপর ১১ নভেম্বর ফেরেন বাড়িতে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছিলেন, সেরে উঠবেন দ্রুত। কিন্তু বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না-ফেরার দেশে চলে যান ফুটবলের রাজা। হাসপাতালে থাকার সময়ই হাজারো সমর্থক প্রার্থনায় মগ্ন ছিলেন বাইরে।

৬০তম জন্মদিনের পরপরই লা প্লাতার ইপেন্সা ক্লিনিকে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল ম্যারাডোনার। তবে মাদক নিয়ে সমস্যায় ভোগায় দেরি হয় হাসপাতাল ছাড়তে। তাঁর চিকিৎসকদলের অন্যতম সদস্য আলফ্রেদো কাহে যেন খারাপ কিছুর ইঙ্গিত পেয়েছিলেন তখনই। একটা সময় ম্যারাডোনা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে গিয়েছিলেন মাদককে 'বন্ধু' বানিয়ে ফেলায়।

বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা যায়, ম্যারাডোনার মদের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা। মদ ছাড়ার পর শরীরে উপসর্গ দেখা দেয় অনেক। এ জন্য ওষুধ দিয়ে শান্ত রাখা হচ্ছিল তাঁকে। পুনর্বাসনের জন্য নেওয়া হয়েছিল তিগ্রের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে। তাঁর যকৃৎ ও হৃপিণ্ডজনিত সমস্যা ছিল আগে থেকে। ধুঁকছিল মস্তিষ্ক আর পাকস্থলীও। শেষ পর্যন্ত আর লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারলেন না ম্যারাডোনা। তিগ্রেতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নিজের বাড়িতে। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি, 'আমাদের কিংবদন্তির মৃত্যুতে প্রচণ্ড শোকাহত আমরা। সব সময় তুমি হৃদয়ে থাকবে আমাদের।'

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়