জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করার জন্য আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী। আজ দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ–সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই দলগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা আর এই নামে রাজনীতি করতে পারবে না।
রাজনীতিতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা একমত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী অপশক্তি নির্মূল করার জন্য ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে একমত হয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির ছাত্রসংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের বেশকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসির রায় ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। তারা হলেন দলটির সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলী। দলটির ঢাকা মহানগরীর সাবেক আমীর ও আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামসহ বেশকজনের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।