যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ৪০ দেশের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২২ ডিসেম্বর): মহামারীর মধ্যেই করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ‘রূপ’ এর প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধসব ভ্রমন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতসহ বিশ্বের ৪০ দেশ। নতুন রূপের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে রোববার সরকারের পক্ষ থেকে জানানোর পরপরই একের পর এক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ রাখার এ ঘোষণা দিতে শুরু করে। খবর ডেইলি মেইল, আল জাজিরা।
শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিজ্ঞানীরা ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের একটি নতুন রূপ শনাক্তের কথা ঘোষণা করে এ ধরনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানান। এরপরই গোটা বিশ্বে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইতালিসহ ইউরোপের একাধিক দেশ।
তাছাড়া, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি কেবল যুক্তরাজ্যেই নয় আরও কয়েকটি দেশেও দেখা গেছে। এ মাসের শুরুতে নেদারল্যান্ডসে পরীক্ষায় ঠিক একই ধরনের ভাইরাসের স্ট্রেইন পাওয়া গেছে।
অস্ট্রেলিয়াও সোমবার করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন ধরনের প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া দুইজনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইতালিতেও করোনাভাইরাসের একই রকম নতুন ধরন দেখা গেছে বলে শোনা যাচ্ছে।
সৌদি আরবও এরই মধ্যে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। এছাড়া, সড়ক এবং সমুদ্রপথেও সৌদি আরবে প্রবেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পরে তা আরও বাড়ানোও হতে পারে।
ওদিকে, ভারত আপাতত ২৩-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাজ্য ভ্রমণেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ‘রূপ’ সম্পর্কে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রোববার ঘোষণা দেন যে, এ ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পরার প্রেক্ষিতে লন্ডন এবং এর আশপাশের এলাকার এবারের ক্রিসমাসের কেনাকাটা এবং জনসমাগম বাতিল করা হতে পারে। তার এ ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয় আর্জেন্টিনা, চিলি, কলম্বিয়া এবং কানাডা।
এর আগে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, রোমানিয়া, মাল্টা, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি, বুলগেরিয়া, নেদারল্যান্ডস, লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তেনিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়ে, বেলজিয়াম, গ্রীস, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক, রাশিয়া, ভারত, হংকং, ইসরায়েল, ইরান, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কুয়েত, ইকুয়েডর, এল সালভাদর, পেরু, সৌদি আরব, জর্ডান এবং চেক রিপাবলিক।
ব্রিটেনের সরকার বলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ ধরনের পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে সোমবার সরকারের ক্রাইসিস কমিটি কোবরার বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বৈঠকেই ব্রিটেনের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।