ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (৯ জানুয়ারি): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যৎ সহিংসতায় উস্কানি ও আন্দোলনের শঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘টুইটার সেফটি’ এক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টুইটার। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
টুইটার সেফটি ওই বার্তায় লিখেছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া কয়েকটি টুইট বার্তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে ভবিষ্যত সহিংসতার শঙ্কা করে আমরা স্থায়ীভাবে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছি।’
ব্যক্তিগত অ্যাকউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পর ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইটে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তিনি টুইটারের মতোই নিজস্ব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরীর বিষয়টি ভেবে দেখবেন এবং টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু পোস্ট করার পরপরই এ টুইটটি কর্তৃপক্ষ সরিয়ে ফেলেছে।
টুইটার কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, এই সপ্তাহের ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর বুধবার আমরা এই ব্যাপারটি পরিস্কার করি যে, বার বার টুইটারের নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করার কারণে যেকোনো অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।’
মূলত সমর্থকদের উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে ট্রাম্পের দেওয়া একটি টুইট বার্তা ও সবশেষ শুক্রবার জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তার দেওয়া টুইট বার্তার কারণে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটার মনে করছে এই দুটি টুইট বার্তার মাধ্যমে ট্রাম্প তাদের নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করেছেন।
তাছাড়া ট্রাম্পের কাছ থেকে ভবিষ্যতে এই ধরনের টুইট বার্তা আসলে সেটি আরো সহিংসতা ছড়াতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রনেতাসহ অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সাবেক ফার্ষ্ট লেডি মিশেল ওবামা বৃহস্পতিবারও ট্রাম্পের অসদাচরণের কারণে স্থায়ী ভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার জন্য টুইটারের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার ঘটনায় বুধবার তার টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটার।