করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: আশার আলো দেখাচ্ছে ফাইজার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
ঢাকা (৯ জানুয়ারি): ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে করোনাভাইরাসের যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেটার বিরুদ্ধে টিকা কার্যকরের ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার। সাম্প্রতিক এক পরীক্ষার বরাত দিয়ে ফাইজার বলছে তাদের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। খবর জিনিউজ, রয়টার্স।
ফাইজার এবং ইউনিভার্সটি অব টেক্সাসের মেডিকেল শাখা পরিচালিত ওই স্টাডিতে দেখা গেছে এন৫০১ওয়াই নামে চিহ্নিত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিষ্ক্রিয় করতে ভ্যাকসিন বা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
ফাইজারের স্টাডির এ দাবি করোনাভাইরাসের নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। ব্রিটেনসহ অন্যান্য স্থানেও এ ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকরের ব্যাপারে কাজ চলছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ব্যাপক ভাবে এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে।
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে ফাইজার এ স্টাডি করেছে। সীমিত পর্যায়ে এ স্টাডি করা হয়েছে বলে দাবি করে ফাইজার বলছে এ ব্যাপারে আরো গবেষণা করতে হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময় এখনো আসেনি।
ফাইজারের অন্যতম শীর্ষ ভ্যাকসিন বিজ্ঞানী ফিল ডরমিটজার বলেছেন, ওই মিউিটেশনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন যে কার্যকর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে সেটাই খুব উৎসাহ ব্যঞ্জক। এর আগেও আরো ১৫টি মিউটেশন নিয়ে ফাইজার কাজ করেছে। এ নিয়ে মিউটেশনের সংখ্যা দাড়াল ১৬টি।
ডরমিটজার বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকাতে ই৪৮৪কে নামে আরেকটি ভ্যারিয়েন্টের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। এটিও বেশ উদ্বেগের কারণ। ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রাপ্ত অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধেও টিকা কার্যকর হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে গবেষকরা আরো পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছেন। আমরা আশা করছি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরো তথ্য পাওয়া যাবে।
করোনাভাইরাসের নতুন এ ভ্যারিয়েন্টগুলো আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। তবে এগুলো ততটা ক্ষতিকারক হবে না বলে তারা মনে করছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ করবে না বলে বিশ্বব্যাপী যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এ স্টাডিতে প্রাপ্ত তথ্য সেই উদ্বেগকে প্রশমিত করতে সহায়ক হবে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌছানোর আগে ক্লিনিক্যাল টেস্ট এবং তথ্য প্রয়োজন রয়েছে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্টিফেন ইভান্স বলেন, এটা একটা সুসংবাদ। এর মূল কারণ হচ্ছে এটা কোন দুঃসংবাদ নয়। অতএব, এর ফলে আমরা এখনই আস্থাবান হতে পারছি না। কারণ, ফাইজার বা অন্য কোন ভ্যাকসিন এখনই নিশ্চিত ভাবে আমাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না।