ফের লকডাউনে জার্মানি ও ফ্রান্স
বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
করোনা মোকাবেলায় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে ফ্রান্সে বিক্ষোভ। ছবি: হ্যাম্পশায়ার গেজেট
ঢাকা, ২৯ অক্টোবর: করোনা সংকট মোকাবিলায় জার্মানি ও ফ্রান্সে আবারো লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে লকডাউনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বুধবার রাতে এক জরুরি ভিডিও কনফারেন্সে এ ঘোষণা দিয়েছেন। জার্মানিতে ২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সীমিত আকারের নতুন এই লকডাউন। এদিকে বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সারাদেশে আবার লকডাইন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ লকডাইন ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জানিয়েছেন, জার্মানিতে নভেম্বরে লকডাউন থাকবে। তবে এই লকডাউনে স্কুল ও দোকান উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ দুটি পরিবার বা সর্বোচ্চ ১০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বার, ক্যাটারিং এবং অবসর সুবিধা বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকবে দেশটির পর্যটন খাতও। পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের বিষয়ে সরকার পুনরায় ১১ নভেম্বর পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর একে একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা আখ্যা দিয়ে চ্যান্সেলর সবাইকে এখনই কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে এই হার দৈনিক ৩০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া করোনার কারণে দেশটিতে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
এদিকে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা, চিকিৎসা সহায়তা বা ব্যায়াম করার জন্য বরাদ্দ এক ঘণ্টা সময় বাইরে বের হওয়া ছাড়া সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। কেউ বাড়ির বাইরে বের হলে তাকে অবশ্যই পুলিশের দেয়া বিশেষ অনুমতি পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। প্রেসিডেন্ট বলেন, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এবং দোকানপাট আগামি দুই সপ্তাহ একেবারেই বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ডাক্তাররা হুশিয়ারি বলছেন ইনটেনসিভ কেয়ারে ঝুকির মাত্রা খুব বেড়ে যাচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে ফ্রান্সে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৫০০০। এটি করোনা ভাইরাসে মৃত্যুতে পৃথিবীতে সপ্তম। অক্টোবরের শুরুতে প্যারিস এবং অন্য বড় বড় শহরগুলো রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছিল। তবে কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে এ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। এজন্য আরো পদক্ষেপ নেয়া অতি জরুরি।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা