ভারতে সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি শুরু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৬ জানুয়ারি): বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। ভারতের ১ দশমিক ৩ বিলিয়নের বেশি জনগোষ্ঠীকে কোভিডের হাত থেকে রক্ষা করতে শনিবার থেকে শুরু করা হয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি। ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটি নাগরিককেই এ টিকা দেয়া হবে। খবর বিবিসি, জি নিউজ, টাইমস অব ইনডিয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, আমরা আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছি। এর মাধ্যমে বিশ্বে আমাদের সক্ষমতা প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি অ্যাপের মাধ্যমে ভারতের প্রত্যেককে টিকাদান নিশ্চিত করতে আমাদের বেশ ভাল প্রস্তুতি রয়েছে। এ অ্যাপের মাধ্যমে সরকার টিকাদান কর্মসূচি নজরদারি করতে পারবে এবং এতে নিশ্চিত করা যাবে যে, কেউই বাদ যাচ্ছেন না।
মোদি বলেন, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের পরিচ্ছনতা কর্মীরা যারা অন্ধকার সময়ে আমাদেরকে আলোর দিশা দেখিয়েছেন তারা সবার আগে করোনা টিকা পাবেন। মানবতার সেবায় তারা পরিবার পরিজন থেকে দূরে থেকেছেন। এদের মধ্যে শতশত সেবাদানকারী বাড়িমুখো হননি। তারা অন্যের সেবায় নিজের জীবন বিপন্ন করেছেন। এ কারণে সবার আগে টিকা তারাই পাবেন। স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে জড়িত ১০ মিলিয়ন মানুষ প্রথম দফায় এ টিকা পাচ্ছেন।
এরপর পাবেন জরুরি সেবা ও দেশের সুরক্ষার সঙ্গে যারা যুক্ত, অর্থাৎ সেনা, সুরক্ষা বল, পুলিশ, দমকলকর্মী, পৌর ও পঞ্চায়েত পরিচ্ছনতা কর্মীরা। এদের সংখ্যায় প্রায় ৩ কোটি। এদের সবার টিকা দেয়ার খরচ সরকার বহন করবে। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ কখন নিতে হবে, সেটা ফোনেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর টিকা পাবার সারিতে রয়েছেন যাদের বয়স ৫০ এর উপরে এবং ৫০ এর নীচে যারা অসুস্থ রয়েছেন। টিকা দেয়া ক্ষেত্রে ভারতের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত তথ্যের ওপর সরকার অনেকাংশে নির্ভর করছে। ভারতে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন নিবন্ধিত ভোটর রয়েছেন। টিকার উপযোগীদের তথ্য নিতে সরকার এ ডাটাবেজ ব্যবহার করবে।
শনিবার টিকাদানর কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে সারা দেশেই কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতেরই কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। ভারত সরকার আগস্টের আগেই দেশের ৩০০ মিলিয়ন মানুষের টিকাদান কর্মসূচি নিশ্চিত করতে চাইছে। এজন্য দেশের হেল্থ কেয়ার সেন্টার, স্কুল, কলেজ, কমিউিনিটি হল, মিউনিসিপ্যাল অফিস এবং কমিউনিটি সেন্টারগুলো কাজে লাগানো হচ্ছে।