এ বছর খুলছে না অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: আল জাজিরা
ঢাকা (১৮ জানুয়ারি): এ বছর খুলছে না অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত। দেশের বেশির ভাগ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হলেও এ বছর সীমান্ত পুরোপুরি নাও খোলা হতে পারে বলে সোমবার জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ। খবর আল জাজিরা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, টিকা নেয়ার পর নরওয়েতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হওয়ায় ফাইজারের টিকার পাশর্^ প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত অস্ট্রেলিয়া। আগামী মাসে সেখানে টিকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু করার কথা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রচার মাধ্যম এবিসি কে ব্রান্ডন মারফি বলেছেন, আমরা দেশের অনেককে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারলেও, ঠিক নিশ্চিত করতে পারছি না যে টিকার মাধ্যমেই এ ভাইরাস প্রতিহত করা যাবে।
অস্ট্রেলিয়া সুনির্দিষ্ট এলাকা লকডাইন এবং পরীক্ষা করার হার বেশি থাকায় অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে। সোমবারও সেখানে নতুন করে কারো সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলেনি।
অস্ট্রেলিয়া ওপেন টেনিস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার স্থান ভিক্টোরিয়াতে চারজনের শরীরে করোনার সংক্রমন পাওয়া গেছে। এরাই সবাই ছিলেন বিদেশি। এ খবর জানার পর টুর্নামেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে পরীক্ষার পর মোট ৯ জনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
কঠোর সতর্কতার মাধ্যমে ভিক্টোরিয়াতে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত খেলোয়ার, কোচ এবং কর্মকর্তাদেরকে চার্টার বিমানে করে অস্ট্রেলিয়ায় আনা হয়েছে। এরপর তাদেরকে বিধি অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে।
টুর্নামেন্টের সদসদের শরীরে করোনার শনাক্তের পর চার্টার ফ্লাইটের তিনজনকে কঠোর কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ৭০ জনের বেশি খেলোয়ারকে তাদের হোটেল রুমেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদের প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এতো কড়াকড়িতে খেলোয়াররাও বেশ বিরক্ত। তাদের অসন্তোষের ব্যাপারে ভিক্টোরিয়া স্টেটের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল এন্ড্রো বলেছেন, নিয়ম নিয়ে খেলোয়ারদের অনেকেই আপত্তি করছেন সেটা আমি জানি। কিন্তু সবার জন্য যে নিয়ম প্রযোজ্য, সে নিয়ম তাদেরকেও মানতে হবে।
এখন করোনাভাইরাস নিয়ে মূল ফোকাস করা হচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেটের সিডনিতে। সেখানে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় অন্যান্য এলাকা থেকে সেখানে সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।