রিমান্ডে অং সান সু চি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
অং সান সু চি (ফাইল ছবি)
ঢাকা (০৩ ফেব্রুয়ারি): সামরিক অভ্যুত্থানে আটক মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বুধবার পুলিশের নথিপত্রের সূত্র দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
পুলিশের অভিযোগপত্রে দেখা গেছে অং সান সু চির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি আইন লঙ্ঘন এবং নিজের কাছে অবৈধ যোগাযোগ ডিভাইস ওয়াকি টকি রাখা অন্যতম।
অং সান সু চি কোথায় আছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে বলা হচ্ছে, তাকে রাজধানী নেপিদোতে তার বাসভবনেই রাখা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধেও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার নথিতে দেখা গেছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের রয়েছে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সমাবেশ নিষেধাজ্ঞার বিধি লঙ্ঘন। পুলিশ হেফাজতে তাকে দুই সপ্তাহের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী সোমবার ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর সু চি বা প্রেসিডেন্ট কারো পক্ষ থেকেই কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার ভোরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে অং সান সু চি, উইন মিন্টসহ দলের সিনিয়র নেতাদের আটক করে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। এর মধ্যে ক্ষমতা দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং। তিনি ১১ সদস্যের জান্তা সরকার গঠন করে দেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছিল ৩৪৬টি আসন। সোমবার থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তারা নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। যদিও ইউএসডিপি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে।
‘নির্বাচনে জালিয়াতি’র প্রতিক্রিয়ায়ই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অবশ্য এ আশঙ্কা বেশ কয়েকদিন আগে দেখা দিলেও মাঝখানে সেনাবাহিনী এসব উড়িয়ে দিয়ে বলেছিল, সেনাবাহিনী সংবিধানের সুরক্ষা দিয়ে আসছে; বাহিনীটি আইন অনুযায়ীই কাজ করবে।