অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মায়ানমারের রাস্তায় হাজার জনতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
মায়ানমারের রাস্তায় হাজার হাজার জনতার বিক্ষোভ। ছবি: এবিসি নিউজ
ঢাকা (০৭ ফেব্রুয়ারি): মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে হাজার হাজার জনতা রাস্তায় নেমে এসেছেন। রবিবার দ্বিতীয় দিনে দেশের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের এ বিক্ষোভে অংশ নেয়া নারী পুরুষের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। খবর স্কাইনিউজ, বিবিসি।
ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) পার্টির প্রতীকি রঙ লাল পোশাক পরে বিক্ষোভকারীরা নেত্রী অং সান সুচির মুক্তি দাবি করেন। তারা নভেম্বরের নির্বাচনের ফল মেনে নিতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
এ ধরনের গণ সমাবেশ প্রতিহত করতে সামরিক বাহিনী শনিবারই মায়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এরপরেও রবিবার হাজার হাজার জনতা তাদের ক্ষোভ জানাতে দেশের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় নেমে আসে। ইন্টারনেট বিহীন মায়ানমারে তারা এখন বিক্ষোভের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করার বিকল্প খুঁজছেন। এদিকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করে প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন ফুটেজ সম্প্রচার করছে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৩৭ বছরের মিও উইন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আমরা এগিয়ে যাব এবং গণতন্ত্র না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ২২ বছরের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ১০ বন্ধুসহ আমি এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি। আমরা কোন ভাবেই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে নিতে পারি না। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ নয়। আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে।
সপরিবারে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন এক নারী। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, জনতার কাতারে নেমে আমাদের প্রতিবাদে শামিল হতে হবে। আমরা গণতন্ত্র চাই।
যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইয়াংঙ্গুন ইউনিভার্সিটির বাইরের রাস্তায় পুলিশ ট্রাক এবং দাঙ্গা দমনের সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান নিয়েছে।
এখন পর্যন্ত সামরিক কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমাতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সবাই ভেবেছিলেন আরো আগেই সামরিক বাহিনী হয়তো তাদের দমাতে পদক্ষেপ নেবে।
ইয়াঙ্গুন ছাড়া মাওলামাইন এবং মান্দালে শহরেও রবিবার ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনী সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এনএলডি নেত্রী অং সান সুচি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ অন্য নেতৃবৃন্দকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সামরিক কর্তৃপক্ষ দেশে এক বছরের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে।