জরিপে এগিয়ে বাইডেন, নজর এখন দোদুল্যমান রাজ্যে
বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিবিসি
ঢাকা (২ নভেম্বর): আর মাত্র একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রে ভোট। চূড়ান্ত এ সময়ে জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। তবে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর তা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মাশুল হয়ত এবার ট্রাম্পকে দিতে হবে। দেশ করোনাভাইরাস সঙ্কটে পড়ার পর থেকেই জনমত জরিপগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনকে আর পেছনে ফেলতে পারেননি ট্রাম্প।
রয়টার্সের সর্বশেষ জনমত জরিপে ৫১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন বাইডেন। ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৪৩ শতাংশ। ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর এ জরিপ চালানো হয়। তবে জরিপে পিছিয়ে থাকলেও ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ রাজ্যগুলোতে বাইডেনের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রাখতে পেরেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুধু ভোট বেশি পাওয়াই যথেষ্ট নয়। হোয়াইট হাউজের চাবি পেতে হলে জিততে হবে ইলেকটোরাল কলেজে। অর্থাৎ, ভোটারদের সরাসরি ভোটে না বরং পরোক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
চার বছর আগে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্পের থেকে প্রায় ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজে হেরে গিয়েছিলেন।
৫০টি রাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ (ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া) দেশটিতে মোট ইলেকটোরাল কলেজ ৫১টি।
জনগণ আসলে ভোটের মাধ্যমে ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচন করে দেন। তারা ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এই ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়।
আর এই ইলেকটোরল কলেজে ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও অ্যারিজোনার মত অঙ্গরাজ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এই অঙ্গরাজ্যগুলোতে দৌড়ে আসলে কেউ এগিয়ে নেই। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনের মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের চেয়ে সামান্যই পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প।
২০১৬ সালের নির্বাচনে মূলত স্কুল পাশ করা শেতাঙ্গ এবং বয়স্ক আমেরিকানদের ভোটে জিতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে এবার দুই গ্রুপেই তার সমর্থন কমেছে।