রাশিয়ান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পতাকা
ঢাকা (০৩ মার্চ): রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সিনিয়র রাশিয়ান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিবিসি।
রাশিয়া প্রশ্নে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গ্রহন করা পদক্ষেপের সঙ্গে সমন্বয় করেই রাশিয়ার শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং আরো ছয়জনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্যে দেখা গেছে, মস্কোর সরকার গেল বছর নাভালনিকে বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট নোভিচক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল। নাভালনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের কঠোর সমালোচক বলে পরিচিত।
মস্কো অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পশ্চিমাদের এ দাবী প্রত্যাখান করেছে।
মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার সাত সিনিয়র কর্মকর্তা এবং রাসায়নিক উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৪টি কোম্পানির ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে ওইসব কর্মকর্তা এবং কোম্পানির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
মার্কিন এ নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন রাশিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির প্রধান আলেকজান্ডার ব্রোটনিকভ এবং উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সি ক্রিভোরোচকো ও পাভেল পপভ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটাই হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া প্রথম কঠোর পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও রাশিয়ার ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
নাভালনিকাণ্ডে বিরোধের জেরে এরই মধ্যে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। জবাবে জার্মানি, পোল্যান্ড ও সুইডেন রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। ইইউ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের হুশিয়ারিও দিয়েছে।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে গত বছর সাইবেরিয়া থেকে মস্কোয় ফেরার পথে পুতিনের এই কড়া সমালোচক সোভিয়েত সময়কালীন বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট নোভিচক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিষপ্রয়োগে অসুস্থ নাভালনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। পরে জার্মানিতে দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে ও্ঠনে।
এর পরও ক্ষান্ত হয়নি রুশ প্রশাসন। জার্মানি থেকে ১৭ জানুয়ারি মস্কো ফেরার পর বিমানবন্দরেই আটক করা হয় নাভালনিকে। পরে মস্কোর একটি আদালত তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।