মায়ানমারে বন্ধ দোকান-পাট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
নিরাপত্তাবাহিনী রবিবার জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে। ছবি: রয়টার্স
ঢাকা (০৮ মার্চ): মায়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে দোকান-পাট, কলকারখানা এবং ব্যাংকসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সোমবার মিয়ানমারের শ্রমিক সংগঠনগুলো জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থার অংশ হিসেবে অর্থনীতি স্থবির করতে এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শহরে যে কোন ধরণের সমাবেশ প্রতিহত করতে সেনা সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্থানীয়দের সতর্ক করেছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী ইয়াঙ্গুনে প্রত্যেকটা গাড়ি থামিয়ে তল্লাসি চালাচ্ছে। এতোকিছূর পরও জনতা দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালেতে এবং পশ্চিমাঞ্চলের মনিওয়া শহরে বিক্ষোভ করেছে। দক্ষিণের উপকূলীয় দাওয়েই শহরেও বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। সেখানকার সংখ্যালঘু সশস্ত্র সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন নিজেদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।
অং সান সু চিকে গ্রেপ্তার করে সেনা শাসক ক্ষমতায় বসার পর থেকেই মায়ানমারে সহিংসতা শুরু হয়েছে। এতে ৫০ জনের বেশি নিহতও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরণের সংকটে পড়েছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রম ব্যবস্থার ওপরও পড়েছে ব্যাপক প্রভাব। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নেমেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
নির্মাণ, কৃষি ও পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৯টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সমন্বিত সংগঠন ‘সবাই মিয়ানমারের নাগরিক’ সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ ও অং সান সু চির মুক্তি দাবিতে কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই সময়।
এদিকে রাতভর ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।